১.প্রতিষ্ঠান পরিচিতি ঃ
ওলীয়ে বরহক, ইনসানে কামেল, বিশিষ্ট দার্শনিক, মুজাদ্দিদ, হাদীয়ে যামান হযরত মাওলানা মুহম্মদ
আযীযুর রহমান নেছারাবাদী কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ. ১৯৫৬ ইং সনে আজকের ঝালকাঠী এন এস
কামিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন ফোরকানিয়া মাদ্রাসা হিসেবে। ১৯৬১ ইং সনে দাখিল কার্যক্রম শুরু হয়ে
১৯৮৬ ইং সনে কামিল (হাদীস) পর্যায়ে উনড়বীত হয় অত্র প্রতিষ্ঠান।
১৯৯৪ ইং সনে বর্তমান অধ্যক্ষ জনাব মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী দায়িত্বভার গ্রহণ করার
পর থেকে ঝালকাঠী এন এস কামিল মাদ্রাসার বহুমুখী অভিযাত্রা শুরু হয়। কম্পিউটার, দাখিল-আলিমে
বিজ্ঞান, ফাযিল বি এ অনার্স, কামিলে তাফসীর ও ফিকহ চালু করা সহ একাডেমিক ও অবকাঠামোগত
উনড়বয়নের পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রয়াস চলতে থাকে।
ফীডব্যাক ক্লাস, ক্লাসটেস্ট এবং সেমিস্টার ব্যবস্থায় পরীক্ষা গ্রহণসহ সর্বাধুনিক পদ্ধতি প্রবর্তনের সুফল
১৯৯৪ ইং সন থেকে অদ্যবধি প্রবহমান। এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ ১৯৯৬ ইং সন থেকে মাদ্রাসা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়
পর্যায়ে প্রতিবছর ছাত্রদের মেধাতালিকায় স্থান লাভ। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে পরিচালনা, ত্যাগী, মুত্তাকী,
মুখলেছ, সৎ ও যোগ্য শিক্ষকম-লীর শিক্ষাদান, সুন্দর, স্বচ্ছ ও প্রত্যাশিত মনোগ্রাহী পরিবেশ এবং দলীয়
রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গণ মাদ্রাসাটিকে আজ দেশময় পরিচিত শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
২. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঃ
পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষা সহায়ক কার্যμমের মাধ্যমে ছাত্রদের ওহঃবষষবপঃঁধষ (বুদ্ধিজাত), গবহঃধষ (মানসিক)
ও ঝঢ়রৎরঃঁধষ (আধ্যাত্মিক) সত্তার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে জাতিকে ঈমানী শক্তিতে বলিয়ান, শিক্ষিত,
সুশৃঙ্খল, দক্ষ, সৎ ও নিষ্ঠাবান জনশক্তি উপহার দেয়া।
৩. পাঠদান পদ্ধতি ঃ
পাঠদানের মাধ্যম বাংলা, তবে আরবী ও ইংরেজীর উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। ছাত্রদের জ্ঞানের পরিধি
বৃদ্ধি ও উৎকর্ষ সাধনের জন্য নূরানী, কিন্ডার গার্টেন ও ক্যাডেটের সমন্বিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। পাঠপরিকল্পনা,
ক্লাসটেস্ট, সেমিস্টার পদ্ধতি, সাধারণ জ্ঞান, ইসলামী জীবন ও আমলী প্রাকটিক্যাল ক্লাস এবং
শিক্ষা সহায়ক কার্যμমসহ যথোপযুক্ত সর্বাধুনিক ব্যবস্থা অনুসৃত হয়। প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদানের বাইরে
ছাত্রাবাসে শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ছাত্রদেরকে রেখে পাঠ প্রস্তুতিতে নিয়োজিত রাখা হয়।
৪. ফলাফল ও সাফল্য ঃ
এ প্রতিষ্ঠানের ফলাফল বরাবরই উলেখে
যাগ্য। প্রতিবছর ৫ম সমাপনী ও জেডিসি পরীক্ষায় সেরা প্রতিষ্ঠানের
মধ্যে শীর্ষ স্থান অর্জন, বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুষ্ঠিত পরীক্ষাসমূহে শতভাগ পাশসহ দাখিল ও আলিমে
অধিকাংশ ছাত্রের অ+ প্রাপ্তির সুবাদে নির্বাচিত সেরা ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ
মাদ্রাসা জাতীয়ভাবে বরাবরই স্বীকৃত হয়ে আসছে। গ্রেডিং পদ্ধতি প্রবর্তনের পূর্বেও দাখিল, আলিম, ফাযিল
ও কামিল পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা কয়েকবারই মাদ্রাসা বোর্ডের মেধা তালিকায় ১ম স্থান লাভ করার
গৌরব অর্জন করে। প্রতিবছর দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানের অনেক ছাত্র।
ইতোমধ্যে জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিনড়ব শাখায় অনুপ্রবেশ ঘটেছে অত্র প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছাত্রদের।