জাতীয় উন্নয়নে জাগো বাংলাদেশ এর গণসচেতনতার ১৫ বৎসর (২০০০-২০১৫ ইং)
রাষ্ট্রের সকল দায় ও সমস্যার বোঝা যেহেতু সমাজকেই বহন করতে হয় অতএব সমাজ যাতে নতযানু না হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে সে জন্য সমাজের সচেতন ও দরদী শ্রেনীকেই সমাজ উ্ন্নয়নে স্বেচ্ছাব্রতী দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এ লক্ষ্যেই ২০০০ ইং এর ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাক্তিগত যোগ্যতা, ক্ষমতা ও সীমাবদ্ধ অবস্থান থেকেই শুরু করেছিলাম সমাজ পরিবর্তনে গণসচেতনতামূলক উন্মুক্ত কর্মকান্ড যার সাংগঠনিক পরিচয় ও নাম- জাগো বাংলাদেশ।
মানুষের পেশা অনুযায়ী সাংগঠনিক কাঠামোর মাধ্যমে শ্রেণীভিত্তিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় গণসচেতনতায় গণজাগরনের লক্ষ্যে আজ পর্যন্ত শ্রেনীভিত্তিক ২৮ টি অঙ্গসংগঠন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কেবল গণসচেতনতার ডাক দিয়ে যাচ্ছি। কারন এই গণসচেতনতা থেকেই একদিন গণজাগরনের আওয়াজ উঠবে, ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হবে দেশ থেকে দেশান্তরে। শ্রেনীভিত্তিক মানুষ, শ্রেনীভিত্তিক সংগঠনে সংঘবদ্ধ হলে ব্যক্তি ও সমাজের পরিবর্তন আসবেই। এমন দৃঢ় বিশ্বাস মনে-প্রাণে ধারন করে পথ চলছি। বিগত ১৫ বছরে গণসচেতনতামূলক যে সকল কর্মকান্ড করেছি তা হল-
১. এ পর্যন্ত ২৬০০ টি উন্নয়নমূলক বিষয়ভিত্তিক উন্মুক্ত আলোচনা ও দেশজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।
২. মানুষের পেশা অনুযায়ী শ্রেনীভি্িত্তক ২৮ টি অঙ্গসংগঠন ও নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি।
৩. হাজার হাজার মানুষকে রক্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রদানে সহযোগিতা।
৪. ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প গঠন ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা
৫. গার্মেন্টস শ্রমিকসহ শ্রমজীবী মানুষদের বেতন-ভাতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা।
৬. নৌ-মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় জাতীয় নদী উৎসব-২০১১ বাস্তবায়নে অংশীদারী সংগঠন।
৭. কিংবদন্তীতূল্য সাংবাদিক শ্রী নির্মল সেন এর চিকিৎসার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন, গণস্বাক্ষর ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্বারক প্রদান।
৮. মানবতা বিরোধী বোমা হামলার প্রতিবাদ-বিচারে সমমর্মিতায় নীরব রোড-মার্চ।
৯. সম্মিলিত বায়ু দূষন- শব্দ দূষন জোট ভূক্ত সংগঠন।
১০. মোবাইল কল প্রতি মিনিট ১০ টাকা থেকে ২ টাকার দাবিতে আন্দোলন। পরবর্তিতে ২০১৪ সালে থেকে প্রতি মিনিট ০.২৫ পয়সার দাবীতে আন্দোলন করা চলছে।
১১. দূর্নীতি প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে পদযাত্রা।
১২. ভাড়াটিয়া কমিশন গঠনসহ জাতীয় ভিত্তিক অসংগতি ও সমস্যা সমাধানে মানব বন্ধন।
১৩. দেশীয় পণ্য ব্যবহারে উদ্বোদ্ধকরন কর্মসূচী পালন।
১৪. জাগো বাংলাদেশের সুস্থ্যধারার পরিবেশে উদ্বোদ্ধ হয়ে রাজধানী ঢাকা সহ দেশব্যাপী অসংখ্য সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়ে জাগো বাংলাদেশের কর্মসূচীর সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
১৫. খাদ্য,বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তাসহ জীবনের মৌলিক বিষয়ে গনসচেতনায় উদ্বোদ্ধকরন।
১৬. অফিস, ষ্টাফ, দেশী-বিদেশী ডোনার-স্পন্সর ছাড়াই, সদস্য থেকে মাসিক ফি, ভর্তি ফি সহ কোন প্রকার চাঁদা তথা অর্থনৈতিক সহযোগিতা কারও কাছ থেকে না নিয়ে আজ পর্যন্ত সাংগঠনিক পথ চলা, যা পৃথিবীতে ব্যতিক্রম।
১৭. বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয় দিবস উদ্যাপন করে আসছি।
এবং সর্বশেষে
১৮. ১লা বৈশাখ ১৪২১বঙ্গাব্দে রমনা পার্কে ফোনে ফোনে রক্তদান বিষয়ক ব্যতিক্রমধর্মী রক্তদান কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়েছে। উক্ত রক্তদান কর্মসূচীর মাধ্যমে যে কোন মূমুর্ষ রোগীকে সরাসরি বিনামূল্যে রক্ত প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিম্নে উল্লেখিত প্রতিটি অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি
পদাধিকার বলে মূল সংগঠন
জাগো বাংলাদেশ এর কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য
জাগো বাংলাদেশ যুব ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ মানবাধিকার ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ দূর্নীতি প্রতিরোধ ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া কল্যান ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ অফিস পিয়ন ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ মোবাইল গ্রাহক ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ শিশু- কিশোর ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ সমবায় ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ ধর্মীয় ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ কর্মসংস্থান প্রকল্প
জাগো বাংলাদেশ “সহায়ক” প্রশিক্ষন প্রকল্প
জাগো বাংলাদেশ সরাসরি রক্তদান প্রকল্প
জাগো বাংলাদেশ শিক্ষা ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ যাত্রী কল্যান ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ ক্রীড়া ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ হোটেল শ্রমিক ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ বাউল শিল্পী ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র দর্শক ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ প্রাইমারী ‘ল’ এসিস্টেন্ট ফেডারেশন
জাগো বাংলাদেশ কৃষি ফেডারেশন