দেশের উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার যমুনা বিধৌত এবং চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী জনপদ। তাঁত সমুদ্ধ এ জেলায় রবীন্দ্র স্মৃতি বিজরিত কাচারি বাড়িসহ বেশ কিছু প্রাচীন ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এবং এখানে জন্মেছেন মাওলানা ভাসানী, রজনীকান্ত সেন, সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী, যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী, শহীদ এম মনসুর আলী, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, অধ্যাপক ডাঃ এম এ মতিন, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী মোঃ নাসিম, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সহ আরো অনেক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। এদের পূণ্য ভূমি হিসেবে খ্যাত সিরাজগঞ্জ শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও রাজনীতির ক্ষেত্রে দেশব্যাপি আজ অবধী অবদান রেখে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জ শহরের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী প্রয়াত মওলানা কোরবান আলীর উদ্যোগে এবং স্থানীয় জনগনের অকৃপণ সাহায্য-সহযোগিতায় আজকের এই কলেজটি ১৮৮৯ খ্রিঃ একটি সিনিয়র মাদ্রাসা নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং ১৯২১ সালে এটি (আই আই কলেজ) ইসলামিয়া ইন্টারমিডিয়েট কলেজে রূপান্তরিত হয়। ১৯৭২ সালে কলেজটি ‘ইসলামিয়া কলেজ’ নামে পরিচিতি পায়। প্রয়াত উপ-প্রধানমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ এম এ মতিন এর সহযোগিতায় এবং সাবেক অধ্যক্ষ সর্বজন শ্রদ্ধেয় মোঃ দীন আমীন সাহেব ও তাঁর সহকর্মীদের প্রানপণ প্রচেষ্টায় ১৯৮৪ খ্রিঃ কলেজটি সরকারীকরণ হয়। বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রী (পাস) এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, বাংলা ও ব্যবস্থাপনা বিষয় সমূহে অনার্স কোর্স চালু আছে। বর্তমানে কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর প্রায় ৩ সহশ্রাধিক বাউবি-এর অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রী (পাস) কোর্সে পড়ালেখা করছে প্রায় ৭০০ (সাতশত) শিক্ষার্থী। বর্তমানে ৩৩ জন দক্ষ ও মেধাবী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক মানুষ গড়ার এক মহান ব্রত নিয়ে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন শহরের সবচেয়ে প্রাচীন এই কলেজটিতে।
কেন এই কলেজে পড়ালেখা করবো?
আমাদের বিশেষ বৈশিষ্ঠ্য :
@ পঠন-পাঠন ও জ্ঞান চর্চার জন্য সবুজে ঘেরা নিরিবিলি পরিবেশ বিদ্যমান।
@ বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষিত মেধাবী শিক্ষক মন্ডলীর মাধ্যমে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদান।
@ সুনির্দিষ্ঠ পাঠ পরিকল্পনার মাধ্যমে , সাপ্তাহিক ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় অগ্রগতি নিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক মতবিনিময়।
@ শিক্ষার্থীদের অনুপস্তিতি তাৎক্ষণিক ভাবে অভিভাবককে জানানো।
@ গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা।
@ সরকার নির্ধারিত স্বল্প খরচে মান সম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণের অবারিত সুযোগ।
@ প্রয়োজনীয় পরিমাণ ব্যবহারিক ক্লাশের সুবিধা।
@ কলেজ মসজিদে নামাজ পড়ার এক অন্যরকম প্রশান্তি!
@ শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে প্রতি মাসে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক সভা।
@ ৯০%+ উপস্থিতির জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা।
@ অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকারীকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান।