বর্তমান সামাজিক পটভূমি বড়ই ভয়াবহ, চারিদিক জুড়ে চলছে শুধুই অরাজকতা। যেখানে মানবিকতার কোন মূল্য নেই, মনুষ্যত্ব হারিয়ে গেছে বললেই চলে। মানুষ মানুষকে ভালোবাসার বদলে হিংসার চোখে দেখতেই বেশী পছন্দ করে । যেখানে আইন বিক্রী হয় টাকার দামে । সততা গুমরে কাঁদে, মিথ্যার পদতলে পিষ্ট হয়ে । অবিচারের আদালতে বিচার পায় না সাধারণ মানুষ । ঠুনকো রাজণীতির স্বার্থ জর্জরিত লড়াইয়ে মায়ের কোল ভেজে ছেলের রক্তে, স্ত্রী হারায় স্বামী আর সন্তান তার জন্মদাতাকে । তবুও নাকি এটাই গণতন্ত্র, আর আমরা গণতান্ত্রিক ।
যেখানে প্রত্যেক দিন সংস্কৃতির ধর্ষন হয় রাতের অন্ধকারে ডিস্কো ঠেকের উন্মাদনায়, ভালোবাসার ঠিকানা হয় হৃদয়ের পরিবর্তে বিছানা, আনাজের মতো শরীর বিক্রী হয় বাজারে রাস্তার ধারে কোন এক অন্ধকার গলিতে । ব্যাগ ভর্তি শিক্ষা পেটের জ্বালা নেভাতেই শেষ, চেতনার বিকাশে ব্যর্থ । গতানুগতিক সামাজিক পরিব্যবস্থাকে অক্ষুন্ন রেখে আজও গরীব শিকার হয়, ধনীর লোভাতুর থাবার । চোখের সামনে এত সবকিছু দেখেও আমরা প্রত্যেকেই নীরব । এ নীরবতা শত ধিক্, শত লজ্জার ।।
রোজ সকালে ঘুম থেকে ওঠা মানেই কিন্তু জাগা নয়, জাগার আক্ষরিক অর্থ হল একজন মানুষ হিসাবে নিজের মন, প্রাণ, বিবেক, মানবিকতা, মনুষত্ব্যবোধ ও চেতনার প্রকৃত বিকাশ । ঠিক এরকমই এক পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে বিগত ২০০০ সালে, দূর্গা পূজোর প্রাক্কালে এক ঝাঁক তরুণের দল নিজেদের লাভ ক্ষতির অঙ্ক না কষে, সমাজে সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশের ধারাকে অক্ষুন্ন রাখতে, মানবপ্রেমে ব্রতী হয়ে দরিদ্র সেবায় নিজেদের সদা নিয়োজিত করতে জন্ম দেয় একটি সমাজসেবী সংগঠনের, যার নাম “ডোমজুড় সংস্কৃতি কেন্দ্র” ।।