আলেকজান্ডার মেঘনা বীচ

একটি সম্ভাবনা ও একটি সুন্ধরের লালন ভুমি... স্বর্গ
আরমান রাজু
মনে হয় প্রাণ এক দূর স্বচ্ছ সাগরের কূলে
জন্ম নিয়েছিলো কবে;
পিছে মৃত্যুহীন জন্মহীন চিহ্নহীন
কুয়াশার যে ইঙ্গিত ছিলো --
সেই সব ধীরে ধীরে ভুলে গিয়ে অন্য এক মানে
পেয়েছিলো এখানে ভূমিষ্ঠ হয়ে -- আলো জল আকাশের টানে;
কেন যেন কাকে ভালোবেসে! এমনি একটি স্থান “আলেকজান্ডার মেঘনা বীচ” লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার এবং নোয়াখালি জেলা থেকে ৪০ কিলোমিটার দুরত্বে রামগতি থানার আলেকজান্ডার পৌরসভার বাজার সংলগ্ন একটি মিঠা পানির সৈকত। এটি মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত। লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালি থেকে “আলেকজান্ডার বীচে” যাতাযাতের জন্য রয়েছে সুদীর্ঘ মসৃন পাকা সড়ক পথ, যা বীচ ঘেসে সমাপ্ত হয়েছে। যে সড়কে আপনি বাসে ১ঘন্টায় পৌঁছাতে পারবেন। এছাড়াও সিএনজি ও অন্যান্য বিশেষ জানবাহন তো রয়েছেই। ঢাকা ও চট্রগ্রাম থেকে সরাসরি বাস সার্ভিস ও রয়েছে।এ ছাড়া এই এলাকার স্থানিয় সংস্ক্রিতি ও জন মানুষের শিক্ষা ও জীবন মান উন্নত । এ খানে পর্যটকরা হয় বিশেষভাবে আতিথেয়তায় সমাদ্রিত । ২০১৪ সাল থেকে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে “আলেকজান্ডার বীচ” এর সৌন্দর্য বর্ধন কাজ ধারাবাহিক ভাবে চলছে। ইতোমধ্যে এই বীচ বিশ্ব পরিচিতি পেয়েছে। বিকাল হতে না হতেই হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমায় এই বীচে। মনোমুগ্ধকর এক পর্যটন এলাকা। মনোরম পরিবেশ এর কারণে যে কেউ বার ছুটে আসতে চায় এই বীচে। পানির ঢেউয়ের তালে তালে মিঠা পানিতে গোসল, ঢেউয়ের কল-কাকলি ও বিশুদ্ধ বাতাসের শব্দে দোলা দেবে আপনার মন। নৌকা ভ্রমণ ও মাছ ধরার সে এক অন্যরকম অনভুতি। মটরসাইকেল ও কার পার্কিংয়ের সু-ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও থাকার জন্য সরকারি ও বেসরকারি রেস্টহাউজ এর সু-ব্যবস্থা রয়েছে।এই প্রাকৃতিক লিলাভুমি পরিদর্শনে আপনি সাধর আমন্ত্রিত । নিছে “আলেকজান্ডার মেঘনা বীচ” অবস্থিত রামগতি থানার পরিচিতি সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরা হল
# এক নজরে রামগতি
রামগতি উপজেলার আয়তন প্রায় ৩৪৭ বর্গ কিলোমিটার। রামগতি উপজেলার উত্তরে কমলনগর উপজেলা, পূর্বে নোয়াখালী সদর ,দক্ষিণে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা এবং পশ্চিমে ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন উপজেলা।
রামগতি উপজেলা ৩১ (একত্রিশ) টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এই উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৬১,০০২ জন, এর মধ্যে পুরুষ ১,২৪,৪৪৯ জন এবং মহিলা ১,৩২,৫৫৩ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৭৫২ জন। মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৯৪.৮০% মুসলিম ,৫.১৮% হিন্দু এবং ০.০২% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। রামগতি উপজেলার শিক্ষার হার ২৯.৫০% এই উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১,৪২,৯২২ জন । এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১,২৫১ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্য ৭১,৬৭১ জন।
ভূমি বিষয়ক তথ্য : রামগতি উপজেলায় উপজেলা ভূমি অফিস ০১ টি,ইউনিয়ন ভূমি অফিস ০৮ টি, মৌজার সংখ্যা -৩০টি। খাস সম্পত্তির পরিমাণ ১০৩৩২.৬০ একর, অর্পিত সম্পত্তি ৫০১.৪৪ একর,খাস পুকুর ০৬ টি।
আশ্রয়ন প্রকল্প : ০৩ (তিন) টি উপকারভোগী ১১৪০ (এক হাজার এক শত চল্লিশ) পরিবার।
আদর্শ গ্রাম : ০৪ (চার) টি উপকারভোগী ১৮০ (এক শত আশি) পরিবার।
আবাসন প্রকল্প : ০৩ (তিন) টি উপকারভোগী ১৬০ (এক শত ষাট) পরিবার।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : এই উপজেলায় ০১ (এক) টি সরকারী মহাবিদ্যালয় ও ০৩ (তিন) টি বেসরকারী, মহাবিদ্যালয় , ১৮ (আঠার) টি বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় , ৫৪ (চুয়ান্ন) সরকারী ও ৩৮ (আটত্রিশ) টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৭ (সাতাশ) টি মাদ্রাসা রয়েছে।
ধর্মীয় উপাসনালয় : মসজিদ ৩৬৭ টি এবং মন্দির ১১ টি।
ইউনিয়ন সমূহ : রামগতি উপজেলায় ০৮ (আট) টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।
উপজেলার ঐতিহ্য : সয়াবিন চাষ।
ভাষা ও সংস্কৃতি : বাংলা স্থানীয় আঞ্চলিক ভাষা।
মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা (ইউনিয়ন ভিত্তিক)
দর্শনীয় স্থান : মেঘনার বুকে জেগে উঠা চর গজারিয়া ও বয়ারচর ।
খেলাধুলা ও বিনোদনঃ লাঠি খেলা।
প্রাকৃতিক সম্পদ : ইলিশ মাছ।
নদ-নদী : মেঘনা ও ভুলুয়া নদী।
ছবি স্থান - আলেকজান্ডার মেঘনা বিচ ।