মহাদেবপুর সদর শহর ৪টি মৌজা নিয়ে গঠিত এবং এর আয়তন ৭.১৫ বর্গ কি.মি.। প্রশাসন থানা সৃষ্টি হয়ে ছিল ১৮৯৮ সালে। বর্তমানে উপজেলা ১টি, ইউনিয়ন ১০টি, মৌজা ৩০৭টি, গ্রাম ৩০০টি।
১৮৮২ খ্রীষ্ট্রাব্দে নওগাঁ মহকুমা সৃষ্টির পর ১৮৯৮ খ্রীষ্ট্রাব্দে মহাদেবপুরকে নওগাঁ মহকুমার অন্তভূক্ত করা হয়। এর পুর্ব পর্যন্ত মহাদেবপুর দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত ছিল। ১৫ ডিসেমবর /১৯৮২ খী্রষ্টাব্দে মহাদেবপুরকে মান উন্নীত থানায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে মহাদেবপুর একটি শহরে অবয়ব লাভ করেছে। ব্যবসা বাণিজ্য শিল্প সাহিত্য এবং জীবনযাত্রাই মহাদেবপুর নওগাঁ জেলার অগ্রসরমান একটি উপজেলা হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।অনুমান করা যায় যে, ১৭৫৭ সালে পলাশীতে নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলার পরাজয়ের পর এ উপমহাদেশে ইংরেজদের সাবেক স্নেহভাজন ও নব্য গজিয়ে উঠা ধর্মীয় প্রভাবশালী হিন্দু সম্প্রদায় তাদের অবসহান দৃঢ় করে নেয় এবং সমাজের সকল স্তরে প্রভাব প্রতিপত্তি ঘটাতে থাকে। হিন্দু প্রভাবের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেব-দেবীর নামানুসারে বিভিন্ন গ্রাম ও সহানের নাম করন করা হয়। আর এভাবে হিন্দু ধর্মীয় দেবতা মহাদেবের নাম অনুসারে মহাদেবপুরের নাম করন করা হয়েছে বলে অনুমিত।
মহাদেবপুর উপজেলা ২৪˚৪৮র্ ও ২৫˚০১র্ উত্তর অক্ষ্যাংশের মধ্যে ৮৮˚৩৮র্ ও ৮৮˚৫৩র্ পুর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবসিহত । মহাদেবপুর উপজেলার দুরত্ব নওগাঁ জেলা সদর হতে ২৪ কিঃ মিঃ পশ্চিমে এবং ঢাকা হতে ৩৩৫ কিঃ মিঃ। ইতিহাস থেকে জানা যায় মহাদেবপুরের অধিবাসিরা মুলত পুন্ড্রজাতির বংশধারায় বাংলাদেশে সর্ব প্রথম নগর সভ্যতার গোড়াপত্তন করেছিল। মহাদেবপুরে বর্তমানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই পশ্চিম বঙ্গের বীরভূম,বর্ধমান ও রাঢ় অঞ্চল হতে আগত। তা ছাড়া ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পশ্চিম বঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও বালুঘাট থেকে প্রচুর লোকজন এ এলাকায় আগমন করে। এ ছাড়াও মহাদেবপুর উপজেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আদিবাসী বসবাস করে।