১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ। অ্যালান অক্টেভিয়ান হিউমের হাত ধরে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হ’ল। সেই বছরেই বালি গোস্বামী পাড়ার হরিধন গোস্বামীর বাড়িতে ‘বয়েজ অ্যাসোসিয়েশন’ নামে জন্ম নিল একটি ছোট্ট গ্রন্থাগার। কালক্রমে ঐ গ্রন্থাগারের সঙ্গে আরও অনেক ছোট ছোট গ্রন্থাগারের মিলিত প্রচেষ্টায় আজকে সেটি বালি সাধারণ গ্রন্থাগার। ১৮৮৫-২০১৬, গ্রন্থাগারের দীর্ঘ ১৩২ বছরের ইতিহাসে যুক্ত হয়েছিল আরেকটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়-১৯৪০।
গ্রন্থাগারকে আরও জনমুখী ও পুস্তক আদানপ্রদান সুনিপুনভাবে ভাবে করবার কাজে গ্রন্থাগারের কার্যনির্বাহক সমিতির সহায়তার জন্য রতনমণি চট্টোপাধ্যায়ের প্রেরনায় তৈরি হল ‘কর্মীসঙ্ঘ’। পরাধীন ভারতবর্ষে এ ছিল গ্রন্থাগার কর্মীদের দেশসেবার এক প্রচেষ্টা। কর্মীসঙ্ঘের আদর্শপত্রে তাঁরা লিখলেন, “আমাদের গ্রন্থাগারকে আমরা দেশ সেবার একটি ক্ষেত্র বলিয়া মানি।” সেই কর্মীসঙ্ঘ ১৯৮১তে সমিতিভুক্ত আইনে নিবন্ধিত হয়ে আজ পরিবর্তিত হয়েছে দীর্ঘ ৭৬ বছর পেড়িয়ে আসা বালি সাধারণ গ্রন্থাগার কর্মীসঙ্ঘে।