আদিকথা আক্কেলপুর এফ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
তৎকালীন বগুড়া জেলার আদমদীঘি থানার অধীনআক্কেলপুর একটি বর্ধিষ্ণু বাণিজ্য পল্লী হিসেবে এএলাকায় পরিচিত ছিল। ১৯৪০ সালে তুলশীগংগা নদীর অপর তীরের সোনামুখী তখন রমরমা বন্দর। সাপ্তাহিক হাট বসতো রোববার, শোনা যায় শনিবার দুপুরের পরপরই হাট লেগে যেতো। বিভিন্ন এলাকার হাটুরেদের আনাগোনায় ভারী হয়ে ওঠতো গঞ্জের বাতাস।
এই সোনামুখীতে স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৬ সালে। এইএলাকার মধ্যে মাত্র ৩টি হাই স্কুল ছিল।একটি খঞ্জনপুর, একটি নওগাঁ কে ডি এবং অপরটি সোনামুখি দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়। আক্কেলপুরে তখন পর্যন্ত কোন বিদ্যালয় ছিল না। কিংবা বিদ্যালয় স্থাপন করার কথাও কেউ ভাবছিল না। বর্তমানে যেখানে আদর্শ ক্লাব তার ধারেই ছিল হিন্দু ও মাড়োয়ারীদের ব্যবহার্য একটি ধর্মশালা। ১৯১৯ সালের জানুয়ারী মাসে স্থানীয়মাড়োয়ারী ঘিষা মোর, ভীমরাজ আগরওয়ালা, খান সাহেবমোঃ জছির উদ্দীন, মোহনলাল আগরওয়ালা প্রমুখ এখানে স্কুল গড়ে তোলার কথা ভাবনায় আনেন। কিন্তু স্থানাভাবে তাদের সে চিন্তা কার্যকর হচ্ছিল না। হথাৎ একদিন ধর্মশালা বলে কথিত মাড়োয়ারীদের একটি আটচালায় শুরু হয় প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানকার্য। সকলে একে হিন্দু স্কুল বলত। এতে হিন্দু ভাষাওশিক্ষা দেওয়া হত পুরোদমে। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু সতীশচন্দ্র রায়।এখানেই স্কুল চলতে থাকে। এদিকে এখানে হাই স্কুলপ্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্ঠা শুরু হলে অনেকে এরুপ অভিমতব্যক্ত করেন যে, নদীর ওখানেই সোনামুখি উচ্চ বিদযালয় যারা পড়বে ওখানে গিয়েই পড়বে। অযথা জায়গা জমি নষ্ঠ করে স্কুল তৈরির কোন প্রয়োজন নেই।এছারা সোনামুখী ছিল তখন প্রসিদ্ধ বন্দর।আক্কেলপুরে তখন এক রেলস্টেশন ছাড়া কিছু ছিল না।একটা হাত ছিল যেটা বসতো বর্তমান থানা ভবনেরপুর্বে যেখানে মন্তাজ সরদারের বাড়ি। মাড়য়ারী ওব্যবসায়ীরা তখন সোনামুখীতে থাকতেন।
দিনের পর দিন আসে এমনি করে ১৯৪৮ সালে বর্তমানস্থানে হাই স্কুল গঠন করা হয়। পশ্চিম আওয়ালগাড়ী(কুলপাড়া) বাসিন্দা জনাব ফজের উদ্দীন একজন পাটব্যবসায়ী আক্কেলপুরে এসে তিনি বাড়ীঘর ওজমি জমা প্রচুর করেন। তিনিই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য দান করে যান প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমি। আক্কেলপুরের উদ্য!েগী রাজনৈতিক জননেতা জনাব মজিবর রহমান এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট ভুমিকা রাখেন। তাঁরই আহ্ববানে এলাকাবাসী বিদ্যালয় নির্মাণে প্রজোজনীয় অর্থ সাহায্য করেন।আক্কেলপুরে হাইস্কুল প্রতিষ্ঠিত হলে সোনামুখী ওবাইরের অন্যান্য স্কুলে যারা পড়ত, তারা দ্বিগুনউসাহে এখানে এসে ভর্তি হন, গড়ে ওঠে এখানে এক নিবিরনির্মল পরিবেশ। জমি দাতা ফজের উদ্দীন মন্ডল(মৃত্যুঃ ১১ই শ্রাবন ১৩৭২) এর নামের ইংরেজী আদ্যাক্ষর এফ এবং ইউ নিয়ে বিদ্যালয়ের নাম এফ, ইউ, রাখা হয়।
এই বিদ্যালয়টি সুষ্ঠভাবে গড়ে তোলার জন্য বহুচেষ্টা করে কমিটির সদস্যবৃন্দ পালশা গ্রাম থেকে জনাবগনি চৌধুরীকে ডেকে এনে এখানে শিক্ষকের দায়িত্ব দেন।তারঁই বিচক্ষণতাই ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে এই বিদ্যালয়।